জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সড়ক দূর্ঘনায় দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। চলছে পরিবারের শোকের মাতম। মা নাসিমা খাতুন বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ পাশে (বাঁশতা) গ্রামের আফতাব উদ্দিনের তিন ছেলের মধ্যে মেঝ ছেলে প্রবাসী শাহ্ আলম (২৮) ৪ মাস আগে ছুটিতে বাড়ী আসেন। শাহ্ আলম তার ছোট ভাই মাসুদ রানা(২২) বগুড়া আজিজুল হক কলেজে পড়তেন।তার ভাইকে বাড়ীতে নিয়ে আসার জন্য প্রতিবেশীর মটরসাইকেল নিয়ে বগুড়া গমন করেন। সোমবার ছোট ভাই মাসুদ রানাকে সাথে নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার সময় বগুড়া থেকে ফেরার পথে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে এরুলিয়া নামক স্থানে তাদের মটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার উপরে যান এবং মটরসাইকেলটি অক্ষত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে। ইতিমধ্যে পিছন থেকে দ্রুতগামী অজ্ঞাত একটি ট্রাক তাদের উপর উঠিয়ে দেয়। ঘটনার স্থলে পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের প্রাণ হারান। তাদের দেহের উপরিভাগ ছিন্নবিচ্ছন্ন হয়ে যায়। রাতে এ খবর গ্রামের বাড়ীতে পৌঁছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ মঙ্গলবার মধ্য রাতের পর দুই সহোদরের মরদেহ গ্রামরে বাড়ীতে পৌঁছে। সকাল ১০টায় সরোজমিন সাংবাদিকদের একটি দল দক্ষিণ (বাঁশতা) গ্রামে গেলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। মা নাসিমা খাতুন ও তার পরিবারের সকলেই সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, মেঝ ছেলে শাহ্ আলমেকে বিয়ে দেয়ার কথা ছিল তা পূরন হলো না। বুকের দুই ধন কেড়ে নিল ঘাতক ট্রাক”। বাবা আফতাব(৬০) শোকে পাথর হয়ে গেছেন। “আমার কাঁধে দুই সন্তানের লাশ এ শোক সইব কেমন করে”। দক্ষিণ (বাঁশতা) গ্রামের মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকেই বলছেন, দুই ভাই খুবই শান্ত প্রকৃতির ছেলে ছিল। তাদের এই মৃত্যু এলাকা বাসী মেনে নিতে পারছেনা। আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন,এই মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা চরম দূঃখজনক এবং এসব দূর্ঘটনা প্রতিরোধে অভিভাবকদের উচিত যুবক শ্রেণির হাতে মটর বাইক দিতে নিরুৎসায়িত করা। এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনর্চাজ নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দূর্ঘটনাটি বগুড়ার এরুলিয়া এলাকায় ঘটেছে বিষয়টি আমারা অবগত আছি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply