মিলন হোসেন / স্টাফ রিপোর্টার :
বগুড়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হত্যা চেষ্টা ও চাদাঁবাজী মামলায় সাত জনের বিরুদ্ধে গ্রফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ই জুলাই) বগুড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর বিচারক নিষ্কৃতি হাগিদক এ নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারী পরোয়ানা জারিকৃত আসামিরা হলেন,
১। মোঃ আল আমিন (৪৫),
২। মোছাঃ জেসমিন আক্তার (২৮),
৩। মোঃ হারুনর রশীদ (৫২),
৪। মোঃ আপেল হোসেন (৩৫), ৫। মোঃ মাশকুরুল (৩৫),
৬। মোঃ মাসুম (৩০),
৭। মোঃ মোকসেদ আলী (৩২)
উল্লেখ্য, বিগত ২৭ জুন (রবিবার) চাঁদা না দেয়ায় কারনে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন বুড়িগঞ্জে মোঃ ফজলুর রহমান নামে এক যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় আসামিরা।
ভুক্তভোগী (ফজলুর রহমান) ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল (রবিবার) সন্ধ্যায় পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য ২নং আসামি জেসমিন আক্তার ফজলুর রহমানকে ফোন করে তার বাড়িতে যেতে বলেন। অতঃপর ভিক্টিম ফজলুর রহমান তার বাড়ির সামনে যেতেই বাকি আসামিরা ফজলুর রহমানের হাত-পা বেঁধে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। ভিক্টিম ফজলুর রহমানকে পাওনা টাকা না দিয়ে আটকে রাখে এবং উল্টো ১০,০০০০০/-( ১০ লক্ষ্য) টাকা তার কাছে থেকে চাঁদা দাবি করে।
ভুক্তভোগী (ফজলুর রহমান) চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তখন আসামিরা তাকে পিটিয়ে জখম করে ও তার ডান পা ভেঙ্গে ফেলে। অতঃপর ৯৯৯ নং এ ফোন করলে পুলিশ আসার খবরে আসামিরা সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তারপর পুলিশ এসে আহত ফজলুর রহমানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
উক্ত ঘটনায় ফজলুর রহমানের বড় ভাই বাদী হয়ে বগুড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply