মিলন হোসেন / ষ্টাফ রিপোর্টার :
নবান্ন উপলক্ষে বিশাল এক মাছের মেলা সুন্দর করে সাজানো বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন সিলভার কার্প, কাতল, রুই, গ্লাসকার্প, ব্রিগেড, বোয়াল মাছ সহ নানা প্রজাতির সারিবদ্ধভাবে রেখেছে দোকানে। চলছে হাঁকডাক, দরদাম। এই মাছের মেলা গুলোতে ১কেজি থেকে ২৫কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। মেলায় দুর দুরান্ত থেকে আগত ক্রেতারা ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে ক্রয় করছেন এসব মাছ।
পঞ্জিকা অনুসারে আজ এ দিনেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই শস্যোৎসব পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই মাছের মেলা। নবান্ন উৎসব বলতে নতুন আমন ধান কাটা। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে হরেক রকম মাছের ক্রয়-বিক্রয়।
প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি-ধর্ম-বর্ণকে উপেক্ষা করে নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। সামাজিক প্রথা, রীতি ও কৃত্যের পরিক্রমায় স্থানবিশেষে মাঘ মাসেও নবান্ন উদযাপনের প্রথা রয়েছে।
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী অগ্রহায়ণ অষ্টম মাস হিসেবে বিবেচিত হলেও হেমন্ত ঋতুর দ্বিতীয় এ মাসের প্রথম দিনটিই বাংলাদেশের নবান্ন। বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব উদ্যাপন করার জন্য মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করে নতুন চালের পিঠা ও পায়েস রান্না করে ধুমধামের সঙ্গে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বধূরা অপেক্ষা করেন বাপের বাড়িতে নাইওরে গিয়ে নবান্ন যাপনের জন্য। পিঠা, পায়েস, মুড়ি-মুড়কি আর নতুন চালের ভাতের সুগন্ধে ভরে ওঠে মন।
পঞ্জিকা অনুসারে বৃহস্পতিবার পহেলা অগ্রহায়ণ হওয়ায় এ এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব পালন করছে। এ উৎসবকে ঘিরে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মাছের মেলা বসে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে।
বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান বাজার, উথলী বাজার ও মোকামতলা বাজারে সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে সাজানো রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, বিগহেড, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। এবং লোকজন ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ।
তবে মাছের আকার ভেদে বিভিন্ন দামে মাছ বিক্রি হচ্ছে। বিগহেড ও সিলভার কাপ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, রুই ও কাতলা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিতল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগামী বছর গুলোতে এই মেলা আরো জমজমাট হবে বলে আশা সবার।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply