শ্রী পলাশ চন্দ্র দাস / স্টাফ রিপোর্টার :

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দৃব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশে আজ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপে জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নেই বলেই বর্তমান সরকার দফায় দফায় পানি, তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দামসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে এক দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। কিন্তু জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। তারা দিনের ভোট রাতে করে দখলদারীর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয় দাবি করে তিনি সকল গণতান্ত্রিক পক্ষশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বুধবার দুপুরে বগুড়ার নবাব বাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বগুড়া পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে, তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে ততত্ত্বাবধায়ক  সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। জনগণের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে দরকার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। তাই ফ্যাসিস্ট সরকার হঠাতে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করে চূড়ান্ত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার জন্য দেশবাসীর কাছে আহবান জানিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেন, ‘আসুন আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নয়, গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করবার জন্য, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটা দুর্বার সংগ্রাম গড়ে তুলি, যে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, একনায়কতন্ত্রী, কতৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার জনগণের সংসদ গঠন করতে পারবো। বিষেশ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মো: হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন  বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক  এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক  ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, লাভলী রহমান, মাহবুবর রহমান হারেজ, বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কেএম খায়রুল বাশার, তৌহিদুল আলম মামুন, শেখ তাহা উদ্দিন নাইন, শহীদ উন নবী সালাম, এনামুল কাদির এনাম, মোরশেদ মিল্টন, মনিরুজ্জামান মনির, শাকিল, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, শহর বিএনপির আহবায়ক মশিউর রহমান শামীম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, বগুড়া জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, বগুড়া সদর থানা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহবায়ক শ্রী অতুল চন্দ্র দাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক সরকার মকুল, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মযনুল হক বকুলসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও বক্তব্য রাখেন।