বেলাল হোসেন নিউজ ডেক্স: পাপ মানুষের পার্থিব ও অপার্থিব জীবনের সবচেয়ে বড় বোঝা ও অভিশাপ। পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা ছাড়া মানুষের পার্থিব জীবনের সাফল্য ও পরকালীন জীবনে মুক্তি সম্ভব নয়। রমজানে নিজেকে পাপমুক্ত করার অপার সুযোগ। হাদিসে রমজানের দ্বিতীয় ভাগকে মাগফিরাতের অংশ বলা হয়েছে। মাগফিরাত হলো আল্লাহর কাছ থেকে গুনাহের ক্ষমা লাভ করা।
পাপ মানুষের আত্মাকে কলুষিত করে। মানব জীবনের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। মানুষকে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তাই ইসলাম মানুষকে সব সময় গোনাহমুক্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো পাপ হয়ে গেলে তওবা করে তা থেকে মুক্ত হওয়ার তাগিদ দিয়েছে।
রমজান মাসে রাসুলুল্লাহ (সা.) যেসব কাজ বেশি বেশি করতে বলেছেন, তওবা এর অন্যতম। যেন রমজানে মানুষ পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে। শুধু পাপমুক্ত হওয়ার তাগিদ দেয়নি; যারা পাপ মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করল না এবং পাপ মার্জনা করাতে পারল না তাদের সতর্ক করা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্যানুযায়ী এমন লোকদের ধ্বংসের হজরত জিবরাইল (আ.) দোয়া করেছেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া কবুলের জন্য আমিন বলেছেন। আল্লাহর ভয়ে মুমিনের হূদয় কেঁপে ওঠার জন্য এই একটি হাদিসই যথেষ্ট। যে দোয়া হজরত জিবরাইল (আ.) করেছেন এবং রাসুলে আকরাম (সা.) যে ব্যাপারে আমিন বলেছেন তা কবুল হওয়া অনিবার্য। সুতরাং রমজানে গোনাহ মাফের কোনো বিকল্প নেই।
গোনাহ মাফের অন্যতম শর্ত অতীতের পাপ থেকে বিরত থাকা, তার জন্য অনুতপ্ত হওয়া, আল্লাহর কাছে বিনীত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে এমনটি না করার অঙ্গীকার করা। সর্বোপরি আল্লাহর কাছে পাপমুক্ত জীবন যাপনের তাওফিক চেয়ে দোয়া করা।
লেখক : অধ্যক্ষ, জামিয়া সাঈদিয়া কারীমিয়া, ঢাকা।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply