গুঞ্জন রয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি বেনাপোলের বিশিষ্ট সি এন্ড এফ এজেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ নুরুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ সহচর হওয়ার সুবাধে নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থেকেও দলীয় এ গুরুত্বপূর্ন পদ পেয়েছেন। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধীতা থাকলেও অদৃশ্য শক্তির ইন্ধনে সে দলীয় পদে বহাল রয়েছেন।
অভিযোগ আছে বিরোধী দল তথা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যখন রাজপথের আন্দোলনে হামলা,মামলায় জর্জরিত, তখন মীর আলম আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে ব্যবসা চালিয়েছেন। ফলে তার নামে নেই কোন রাজনৈতিক মামলা এমনকি তাকে পাওয়া যাইনি কোন মিছিল মিটিং এ।এবিষয়ে জানতে মীর আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলেও সাক্ষাৎ না মেলায় বিবৃতি জানা যাইনী।
নেতা-কর্মীদের অভিযোগের সূত্র ধরে এলাকায় ব্যাপক খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়,মীর আলম ছাত্র জীবন থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনিতীতে জড়িত থাকলেও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে মাদকদ্রব্য আইনের মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে জেল হাজতে থাকেন।
২০১৭ সালের ১৭ই এপ্রিল বেনাপোল পোর্টথানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়,যাহার মামলা নং- ২০/ ১৯৪। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় রাজনৈতিক অঙ্গন হতে ছটকে পড়ে মীর আলম।
জামিনে এসে সরকারদলীয় নেতাদের ছত্র-ছায়ায় থেকে আবারো নিজেকে মাদক ব্যবসায় জড়ালে র্যাব-৬ এর সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মীর আলমের বেনাপোল পৌরসভাধীন দূর্গাপুর,কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়কের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেন। এ ঘটনায়ও মীর আলমের নামে মামলা হয়।
টানা ১৫ বছরের বেশী সময় পর মীর আলমের রাজনৈতিক মাঠে সরব উপস্থিতিকে নেতা-কর্মীরা সন্দেহের চোখে দেখছেন। ধারনা করা যাচ্ছে,রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকার বদলের আভাসের প্রেক্ষিতে মীর আলম তার ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল চেষ্ঠায় নিজেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করেছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply