ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ দলে তার পরিচিতি আগে বোলার হিসেবে। যিনি কিনা পেস বোলিংয়ের সঙ্গে টুকটাক ব্যাটিংটাও পারেন। সেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেই রোববার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দেখা গেল পুরোদুস্তোর ব্যাটসম্যানের চেহারায়।
২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭৩ রানেই নেই ৭ উইকেট। শেষ ১১ ওভারে দরকার ৬৯ রান। সাইফউদ্দিন যখন ক্রিজে এসেছেন, হারের শঙ্কা বাংলাদেশ শিবিরে।
সেখান থেকে অষ্টম উইকেটে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্বপ্নের নায়ক সাকিব আল হাসানকে সঙ্গ দিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন এই অলরাউন্ডার। চাপের মুখে এমন ব্যাটিং, সেটাও আবার নয় নম্বরে নেমে!
সাইফউদ্দিন জানালেন, এখন জাতীয় দলে নিচে খেললেও ক্যারিয়ারটা তার শুরু হয়েছিল ব্যাটসম্যান হিসেবেই। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এর চেয়ে অনেক কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার।
সাইফউদ্দিনের ভাষায়, ‘আমি ব্যাটসম্যান হিসেবেই ক্যারিয়ার শুরু করি। এর চেয়েও অনেক চাপের মুখে ব্যাট করেছি। ফেনীর হয়ে বয়সভিত্তিকে খেলার সময় দেখা যেত ৪০ রানের মধ্যে ৫-৬ উইকেট পড়ে যেত, এরপর এক প্রান্ত থেকে এক এক করে খেলে ২০০ রান করতাম। চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে বয়সভিত্তিকে খেলার সময় চাপের মুহূর্ত সামলেছি।’
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিস্তর ফারাক, সাইফউদ্দিন সেটা মানছেন। তবে চাপে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতাটা কাজে দিয়েছে, মনে করেন তিনি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ অবশ্যই ভিন্ন। আন্তর্জাতিক এই প্রথম এমন পরিস্থিতি ছিল। আগের অভিজ্ঞতা বারবার মনে করছিলাম।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ তো জেতা হলো। জিম্বাবুয়েকে তাদেরই মাঠে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব? সাইফউদ্দিন প্রতিপক্ষকে একদম খাটো করতে রাজি নন।
তিনি বলেন, ‘জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই ,যেহেতু ঘরের মাঠে সব দলই দুর্দান্ত। এজন্য বেশি মনোযোগ রেখে খেলছি, শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছি। প্রত্যেক সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য থাকে। প্রসেস ঠিক থাকলে ৩-০ ব্যবধানে জিতব ইনশাআল্লাহ।’
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Leave a Reply