শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় ভাগ্নিকে ধ র্ষণের অ ভিযোগে খালু গ্রে ফতার উপজেলা নির্বাচন ২০২৪ নোয়াখালী,বেগমগঞ্জ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ কামারুজ্জামানের সমাধীতে আরসিআরইউ’র শ্রদ্ধা বগুড়ার সেরা ফটোগ্রাফার হিসেবে আইফোন জিতলেন আরিফ শেখ দুপচাঁচিয়ায় জোহাল মাটাইয়ে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীদের ভাবনায় গৌরবদীপ্ত বিজয় দিবস বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ফাঁপোর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার সেন্টার পরিদর্শন দুপচাঁচিয়ায় বিউটি পার্লারে অভিযান জরিমানা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ মার্চ, ২০২১
  • ৩৮৯ ভিউ টাইম

বেনাপোলে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার ঘুষ বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার :: বেনাপোল আন্তজ্যাতিক প্যাছেঞ্জার টার্মিনালে ভারত-বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদাবাজির স্টাইলে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছেন কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য মনির হোসেন।

যাত্রীরা বলছেন, পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ব্যাগেজ রুলের নিয়মের প্রতি বুড়ি আঙ্গুলি দেখিয়ে টাকা দাবী করে মনির হোসেন। কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সামান্য মালামাল আটকিয়ে ৫শ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে। আর কেউ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার মালামাল সিজার করে দেন। শুল্ক গোয়েন্দার উপর মহল ভাগ পাওয়ায় দাপটের সাথে মনির ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী স্বপন হালদার বলেন, তারা দেড় মাস পরে বাংলাদেশে আসেন। এসময় ইমিগ্রেশনে ব্যাগ রেখে পাসপোর্ট সিল করাতে যান। পরে ফিরে এসে দেখেন ব্যাগ নেই। পরে জানতে পারেন তার ব্যাগ কাস্টমসে তল্লাশীর আগে শুল্ক গোয়েন্দার মনির হোসেন ব্যাগ নিয়ে গেছে। পরে তারা মনির হোসেন কাছে গেলে ব্যাগে থাকা সামান্য কেনা-কাটার জন্য ২ হাজার টাকা দাবী করে। পরে ৫শ টাকা ঘুষ দিয়ে রক্ষা পায়।

যাত্রী গোপাল পোদ্দার বলেন, তিনি ভারত থেকে ফেরার সময় সাথে বাচ্ছাদের খাদ্যদ্রবসহ ব্যবহারের কিছু কেনা-কাটা ছিল। কাস্টমস দেখে ছেড়ে দিলেও প্যাছেঞ্জার টার্মিনালে কোন কথা না বলে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্য পরিচয়ে মনির নামে এক ব্যাক্তি ব্যাগ কেড়ে নেই।

কাস্টমস ঘোষণা অনুযায়ী স্থলপথে একজন যাত্রী ভারত থেকে ফেরার সময় সাথে ৪শত মার্কিন ডলার মুল্যের বিভিন্ন ধরনের পণ্য শুল্ক মুক্ত সুবিধায় আনতে পারবেন। এ সুবিধা বছরে তিন পাবেন যাত্রী। তবে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা এ নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করেই ভয়ভিতি দেখিয়ে যাত্রীদেও কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে। ফলে যাত্রীদের যেমন হয়রানি আর অর্থদন্ড গুনতে হচ্ছে ।

বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী কমিশনার মাসুদ করিম জানান, যাত্রীর কাছ থেকে এমন কোন অভিযোগ তিনি পায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষ্যে অভিযুক্ত সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888