শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুপচাঁচিয়ায় অ জ্ঞাতনামা ব্য ক্তির লা’শ উ’দ্ধার ঝিনাইগাতীতে দায়িত্ব অবহেলা করে ভুল সিজার করায় ডাক্তার মায়াহোড়ের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনের নিকট অভিযোগ  ঝিনাইগাতীতে সহায়-সম্বলহীন নারীদের মাঝে এসডিএফের এককালীন নগদ অর্থ প্রদান বগুড়ায় নিশিন্দারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যখন আসামী অপরদিকে স্ত্রী কে ফিরে পেতে স্বামীর মামলা ঝিনাইগাতী ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তার কাজ শুরু বগুড়ায় কলিন্স কসমেটিকসকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা ও প্রতিঠানটি সিলগালা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে পালিত হ্যলো  মহান স্বাধীনতা দিবস ঝিনাইগাতীতে ঝিনাইগাতীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কুপিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে  আহত বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বগুড়া জেলা শাখার মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ঝিনাইগাতীতে গণহ”ত্যা দিবস পালিত

‘গরমে কষ্ট হয়, তবুও রোজা ছাড়ি না’ (ভিডিও)

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ মে, ২০১৯
  • ১৩৮০ ভিউ টাইম

News Des তপ্ত দুপুর। সূর্যের প্রখর রোদে ক্লান্ত শরীর। অবিরাম ঝড়ছে নোনা ঘাম; কিন্তু আল্লাহর ভয়ে রোজা রাখা থেকে একদিনের জন্যও বিরত থাকেননি রিক্সা চালক সেলিম মিয়া। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার সদর উপজেলায়। এত কষ্টের মধ্যেও রাজধানীর এই পিচ ঢালা কালো রাস্তায় রিক্সার চাকা ঘোরাতে হয় তাকে। কারণ একদিন রিক্সার চাকা বন্ধ থাকলে সংসারের চাকাও যে থেমে যাবে!

তাই সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্তই রিক্সা নিয়ে সেলিম মিয়াকে থাকতে হয়ে রাজপথে।

দৈনিক একশ’ টাকা জমার ভিত্তিতে মালিকের কাছ থেকে রিক্সা নিয়ে রোজ সকালে রেড়িয়ে পড়েন তিনি। সংসারের প্রয়োজনে রোজা রেখেই রিক্সা চালাতে হয় তাকে।

আরামবাগে নটরডেম কলেজ গেটের উত্তর পাশে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন সেলিম মিয়া। সেখানেই কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে। জানালেন, বাড়ি তার ভোলা জেলার সদর উপজেলায়। দুই ছেলে আর এক মেয়ে তার। তিন সন্তানই দাদা-দাদীর সাথে থাকেন ভোলাতেই। সেলিম মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন নতুন বাজার এলাকায় নূরের চালায় ভাড়া বাড়িতে। মাসিক তিন হাজার টাকা ভাড়ায় টিনশেড একটি ঘরে থাকেন স্বামী-স্ত্রী।

ষাটোর্ধ সেলিম মিয়া আরো জানালেন, প্রতি মাসেই তাকে সন্তানদের পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাড়িতে পাঁচ হাজার টাকা পাঠাতে হয়। স্ত্রী আর নিজের জন্য মাসে খরচ হয় সাত থেকে আট হাজার টাকা। যে করেই হোক সব মিলিয়ে তাকে প্রতি মাসে পনেরো হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা করতে হয়। তা না হলে যে তার সংসার চলেই না।

সেলিম মিয়ার দুই ছেলেই কলেজে পড়ে। তারা নিজেরাও টিউশনি করে নিজেদের পড়াশোনার ব্যয়ের কিছুটা সংস্থান করে। তাই সেলিম মিয়ার উপর আগের তুলনায় চাপ কিছুটা কমেছে। তবে গ্রামের বাড়িতে থাকা মেয়ের পড়াশোনা আর বিয়ের খরচের জন্য এখন থেকেই ভাবতে হচ্ছে তাকে।

মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন কিনা জানতে চাইলে সেলিম মিয়া লুঙ্গির কোমরের গিঁট খুঁলে পলিথিনে মোড়ানো মোবাইল ফোন বের করে দিয়ে বললেন, ‘নাম্বারতো জানি না’ বাবা। রাস্তায় কোন বিপদ মুসিবত হলে যাতে ছেলেদের সংবাদ দিতে পারি তাই ছেলেরাই এই মোবাইলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তবে স্ত্রী আর ছেলেদের মোবাইলে নাম্বার ছাড়া আর কোন নাম্বারে ফোনও করতে পারেননা তিনি।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরী আরো খবর...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

Developed By VorerSokal.Com
newspapar2580417888